নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেট | শুক্রবার, ৮ আগস্ট ২০২৫
সিলেট নগরীর ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আলী আমজদের ঘড়িঘরের পাশে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন ডালিম আহমদ (৩৫) নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোতোয়ালি থানা থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত ডালিম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার মেরেঙ্গা এলাকার বাসিন্দা এবং লোকমান মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, এক যুবক ডালিমের ওপর হঠাৎ ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। হত্যাকারী প্রথমে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে পায়ের রগ কেটে দেয়। ঘটনার পর ঘাতক নির্বিঘ্নে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সে সময় তার হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় আশপাশের কেউ এগিয়ে আসতে সাহস করেননি।
গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা ডালিমকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা, কারণ ঘটনাস্থলটি থানার একেবারে পাশে হওয়া সত্ত্বেও ঘটনার সময় সেখানে কোনো পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল না।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া ও জনসংযোগ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ছিনতাইকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে এবং ঘাতককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সামসুল হাবিব জানান, “নিহত ডালিম একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী ছিলেন এবং এর আগেও তিনি একাধিকবার জেল খেটেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারীও ছিনতাই চক্রের সদস্য এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।”
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।