সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ঘের ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ।

শূন্যরেখায় মাছের ঘেরে কাজ করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের ছররা গুলিতে আহত হন লক্ষীদাঁড়ির আলমগীর হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর ছররা গুলিতে শেখ আলমগীর হোসেন আলম (৪২) নামের এক বাংলাদেশি ঘের ব্যবসায়ী গুরুতরভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

আহত আলমগীর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের লক্ষীদাঁড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শেখ সাঈদ হোসেনের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভোমরা সীমান্তের ১নং মেইন পিলার সংলগ্ন কুমড়োর খাল এলাকার শূন্যরেখায় তার একটি মাছের ঘেরে কাজ করছিলেন আলমগীর। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টিতে ঘেরটি তলিয়ে যাওয়ায় সেদিন সকালে তিনি নেট বসাতে যান। এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙা বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে ছররা গুলি চালায়।

আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “আমি আমার নিজের ঘেরে নেট বসাতে গিয়েছিলাম। কোনোভাবে সীমান্ত অতিক্রম করিনি। হঠাৎ করেই বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছোঁড়ে। আমার মাথা, মুখ ও চোখে গুলি লাগে।”

চিকিৎসা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. এবিএম আক্তার মারুফ বলেন, “আহত আলমগীরকে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে হাসপাতালে আনা হয়। তার মুখমণ্ডল, মাথা ও ডান চোখে ছররা গুলির আঘাত রয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

তদন্তে বিজিবি

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার জহির আহম্মেদ বলেন, “বিএসএফের গুলিতে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে। বিস্তারিত তথ্য যাচাই শেষে জানানো হবে।”

স্থানীয় জনমনে আতঙ্ক

সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের গুলিবর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা সীমান্তে টহল জোরদার এবং নিরীহ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।