ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. জসিম উদ্দিন খান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এবারের নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, মোট আটটি কেন্দ্রে ১৮টি হলের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ শেষে, প্রতিটি কেন্দ্রেই হল এবং কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা করা হবে। ভোট গণনার এই প্রক্রিয়া হবে উন্মুক্ত ও দৃশ্যমান। নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোর বাইরে স্থাপন করা এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি দেখানো হবে গণনার দৃশ্য, যাতে প্রার্থীরা, ভোটাররা ও সাংবাদিকরা তা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, "ভোটের ফলাফল স্বচ্ছভাবে জানাতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। গণনার পুরো প্রক্রিয়াটি বাইরে থেকে দেখা যাবে। এতে করে আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার আগেই ভোটার ও প্রার্থীরা সব কেন্দ্রের ফলাফলের ভিত্তিতে বিজয়ীর নাম জানতে পারবেন।"
তিনি আরও জানান, ফলাফল গণনা শেষে সবগুলো কেন্দ্রের তথ্য একত্র করে অফিসিয়ালি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
সাইবার বুলিং ও গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "গুজব একটি সামাজিক ব্যাধি। আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি এবং অনেককে ব্যক্তিগতভাবে ডেকে সতর্ক করেছি। শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করছি— কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না।"
এবারের নির্বাচন দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা একে গণতন্ত্র চর্চার এক বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন। প্রার্থীদের বিপুল অংশগ্রহণ এবং শিক্ষার্থীদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা গোটা ক্যাম্পাসে সৃষ্টি করেছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।