লক্ষ্মীপুর, ২২ আগস্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, “এটা কেবল একটি নির্বাচন নয়, বরং বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত।”
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যানি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমি নিজেও এক সময় ডাকসুর প্রতিনিধি ছিলাম। আজকে যে ছাত্রনেতা আবিদকে ভিপি পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তার আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান, নেতৃত্বগুণ ও রাজনৈতিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে বোঝা যায়, আল্লাহ আমাদের জন্য ভবিষ্যতের এক শক্তিশালী নেতৃত্ব তৈরি করে দিয়েছেন।”
ডাকসুর আসন্ন নির্বাচনে ছাত্রদলের ঘোষিত প্যানেলে ভিপি হিসেবে আবিদ, জিএস পদে তানভীর বারী এবং এজিএস পদে মায়েদসহ মোট ২৮ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ্যানি বলেন, “এই প্যানেলকে জয়ী করার জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যে যেখানে আছি, আমাদের সক্রিয় হতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের সৈনিক হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”
তারেক রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে ছাত্র রাজনীতি
বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, “তারেক রহমান রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের যে স্বপ্ন দেখান, তারই ধারাবাহিকতায় ডাকসুর ভিপি পদে আমাদের মনোনীত প্রার্থী সেই দায়িত্ব পালনে সক্ষম। গত ১৭ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামে আমাদের ত্যাগ, নির্যাতন, ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম জনগণের মনে জায়গা করে নিয়েছে।”
তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। আজ তিনি অসুস্থ হলেও তার সাহস আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা বিশ্বাস করি, সামনে যে জাতীয় নির্বাচন হবে, সেখানে জনগণের সরকার গঠনে বিএনপি নেতৃত্ব দেবে, তারেক রহমান দেশে ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও রাজনৈতিক সংকল্প
এ্যানি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমাদের কঠিন এক রাজনৈতিক যুদ্ধে নামতে হবে। আমাদের অনেক কর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তবুও আমরা পিছপা হইনি। আজ ফ্যাসিস্ট শাসক সরে গেছে, তবে আমাদের দায়িত্ব এখন দেশ পুনর্গঠনের।”
প্রতিনিধি সম্মেলনে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি
রামগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, বিএলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এল রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য ভিপি আবদুর রহিম প্রমুখ।
এছাড়াও রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজু, যুগ্ম আহ্বায়ক জিএস মনোয়ার হোসেন, সাবেক উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন তুর্কি, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মিন্টু, এজিএস আবুল কাশেম এবং সদস্য আবুল বাশারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।