সিলেট :
সিলেটের সাদাপাথর এলাকায় পাথর লুটের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সদ্য যোগদান করা জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে তিনটি স্টোন ক্রাশারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পাথর জব্দ করেন তিনি।
এ সময় সারওয়ার আলম বলেন, “একটি পাথর সরালেও জীবন ঝালাপালা করে দেব।” তিনি আরও বলেন, “সাদাপাথরের পাথর লুটে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি। কারা এই লুটের সঙ্গে জড়িত, কেন এবং কীভাবে হয়েছে—সবকিছু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে টুকেরগাঁও এলাকায় ‘চাচা ভাতিজা স্টোন ক্রাশার’, ‘মেসার্স আল করিম স্টোন ক্রাশার’ এবং একটি অজ্ঞাত স্টোন ক্রাশারে মজুদ বিপুল পরিমাণ অবৈধ পাথর জব্দের নির্দেশ দেন তিনি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় পাথরগুলো রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জনগণের শক্তিকে পাশে পেয়ে সাহসী অবস্থান
সারওয়ার আলম বলেন, “জনগণ আমাদের শক্তি। ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ এই লুটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরাও জনগণের পক্ষে থেকে এই অনিয়ম রুখে দেব।” তিনি আরও জানান, সাদাপাথরকে আগের রূপে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসনিক রদবদলের পরপরই মাঠে নতুন ডিসি
সিলেটের পাথর লুটের ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে সম্প্রতি প্রশাসনে পরিবর্তন আনা হয়। গত ১৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সিলেটের তৎকালীন জেলা প্রশাসক মাহবুব মুরাদকে ওএসডি করা হয় এবং আলোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অভিযান অব্যাহত থাকবে
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন মিয়া জানান, “জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অবৈধভাবে মজুদ রাখা এসব পাথর জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত পাথরের সঠিক পরিমাণ সার্ভেয়ারের মাধ্যমে নিরূপণ করে জানানো হবে।”
সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এই সাহসী উদ্যোগ ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে আশার আলো জাগিয়েছে।