উখিয়া (কক্সবাজার), ২০ আগস্ট:
চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের দাবির পক্ষে আন্দোলন চলাকালে আটক হওয়া ২৮ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এর আগে সকাল বেলায় উখিয়া উপজেলা সদর স্টেশনের ফলিয়া পাড়া মোড়ে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত আটজন শিক্ষক আহত হন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এবং পরে আটক হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার জেলার নেত্রী জিনিয়া শারমিন রিয়া জানান, “আমরা ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আলোচনার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসার খরচ বহনের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।”
আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন ছাত্রনেতা নওশাদ ও তারেকও। আন্দোলনকারী ও নেতারা পুলিশের এই আচরণের নিন্দা জানান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব সাগর উল ইসলাম জানান, “আমাদের সাত ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোছাইনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এর আগে গত সোমবার (১৮ আগস্ট) চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের কোর্টবাজার এলাকায় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। এতে প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়ে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুন ইউনিসেফ ও সেভ দ্য চিলড্রেন এক চিঠির মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিচালিত সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। এর ফলে প্রায় এক হাজার ২৫০ শিক্ষক চাকরি হারান। এরপর থেকেই তারা তাদের চাকরি ফিরে পেতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।